রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:০৩ পূর্বাহ্ন
মুলাদী প্রতিনিধি॥ মুলাদীতে আড়িয়ালখাঁ ও জয়ন্তী নদীর ভাঙনের মুখে পড়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও হাটবাজারসহ ১৯টি গ্রাম। বর্ষা মৌসুম শেষ হলেও অব্যাহত বৃষ্টি এবং পানি বৃদ্ধির ফলে দুই নদীর ভাঙনে গ্রামগুলো ছোট হয়ে যাচ্ছে। নদী থেকে অবাধে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে ভাঙন বৃদ্ধি পেয়েছে বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগীরা। তারা ভাঙন রোধে ব্যবস্থা এবং নদী থেকে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবি জানিয়েছেন। আড়িয়ালখাঁ নদীর ভাঙ্গনে উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের সাহেবেরচর, রামারপোল, চর নাজিরপুর, ঘোষেরচর গ্রামের অনেক এলাকা ভেঙে গেছে। প্রায় অর্ধশত পরিবার ভিটেমাটি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন। একই নদীর ভাঙনে বাটামারা ইউনিয়নের আলীমাবাদ, সেলিমপুর, পূর্ব সেলিমপুর, চর বাটামারা গ্রাম, চরকালেখান ইউনিয়নের চরকালেখান, পশ্চিম চরকালেখান, পশ্চিম বানীমর্দন, চরকালেখান নোমরহাট এলাকা ভেঙে যাচ্ছে। জয়ন্তী নদীর ভাঙ্গনে উপজেলার মৃধারহাট, বেপারীর হাট ঝুটপট্টি, মুলাদী সদর ইউনিয়নের নন্দীরবাজার, মুলাদী তেরচর রাস্তারমাথা, কুতুবপুর লঞ্চঘাট, চরলক্ষ্মীপুর গ্রামে ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। চরকালেখান ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো. মিরাজুল ইসলাম সরদার জানান, জয়ন্তী নদীর ভাঙনে মৃধারহাটের অনেক দোকান নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ধীরে ধীরে বাজারটি ছোট হয়ে যাচ্ছে। অবৈধভাবে বালু উত্তোলন এবং বর্ষায় পানি বৃদ্ধির ফলে ভাঙন তীব্র হয়েছে। নদী ভাঙনে পূর্ব বানীমর্দন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ব্রজমোহন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সফিপুর ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, নোমরহাট বাজার হুমকির মুখে পড়েছে।
সফিপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবু মুছা হিমু মুন্সী জানান, জয়ন্তী নদীর ভাঙনে কয়েক হাজার পরিবার ভিটেমাটি হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যে নদী ভাঙনে ব্রজমোহন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভেঙে গেছে। হুমকির মুখে রয়েছে সফিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়। ভাঙন রোধের জন্য বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডে আবেদন করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে মুলাদী-বাবুগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব গোলাম কিবরিয়া টিপু জানান, ‘নদী ভাঙন রোধে ইতিমধ্যে মৃধারহাট, সফিপুর চরমালিয়া, সেলিমপুর, আলীমাবাদ এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় স্বল্পমেয়াদী দরপত্রের মাধ্যমে ৩১টি প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ভাঙন কবলিত বাকী এলাকাগুলো রক্ষায় দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাবুগঞ্জ পওর শাখার উপসহকারী প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম বাপ্পী বলেন, মুলাদী উপজেলার ভাঙন কবলিত এলাকাগুলো একটি প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। প্রকল্পের অনুমোদন হলেই ভাঙন এলাকায় জিও ব্যগ ফেলাসহ অন্যান্য পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
Leave a Reply